বিপিও সম্মেলন: নতুন সরকারের আমলে তথ্যপ্রযুক্তির বড় আয়োজন

শনিবার (২১ জুন) সকালে পর্দা উঠছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় আসর বিপিও সম্মেলনের।  দুই দিনের এই সম্মেলন শেষ হবে আগামী রবিবার। সম্মেলনের আরসর বসছে রাজধানীর ক্যান্টমেন্টের (মাটিকাটা চেকপোস্টের পাশে) সেনা প্রাঙ্গণে।  সম্মেলনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে বিপিও ২.০: রেভুলেশন টু ইনোভেশন।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে থাকছে থিমেটিক সেশন, উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনা, ক্যারিয়ার উৎসব, শিল্পপ্রদর্শনী ও বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব, বিশেষ অতিথি থাকবেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী।  বক্তব্য রাখবেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী-সহ আরও অনেকে। বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীমের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে।  ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন সংগঠনের মহাসচিব ফয়সাল আলীম।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাক্কোর সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম ইনফোটেক ইনসাইট ডট কমকে বলেন, আমরা সব স্টেক হোল্ডারকে সম্মেলনের মাধ্যমে একই প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছি।  আশা করি আগামীতে ভালো কিছু হবে।

এবারের সম্মেলনটি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইসিটি অধিদপ্তর এবং আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (আইবিপিসি) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই সম্মেলনের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যুক্ত থাকবে।  জানা গেছে, বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশ থেকে অতিথিরা আসবেন সম্মেলনে যোগ দিতে।

উল্লেখ্য, এর আগেও দেশে বিপিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে এবার প্রথমবারের মতো এই আয়োজনের আসর বসছে। সম্মেলনে দেশের তরুণদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন, বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেসবের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।