.png)

ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ১৬ জেলায় সম্প্রসারণ, মোট ব্যয় ৩০০ কোটি
Published : ১৭:২৫, ৬ আগস্ট ২০২৫
দেশের শিক্ষিত যুব নারী ও পুরুষদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ সরকারের কাছে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৪৮টি জেলায় এই প্রশিক্ষণ চলছে। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে আরও ১৬টি জেলায় এই প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণের। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি- শীর্ষক প্রকল্পটি সংশোধন করে এর মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৩০০ কোটি টাকা, যা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এটি বাস্তবায়ন করছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বেশির ভাগই আয়ের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। প্রকল্পের সফলতা এবং মাঠপর্যায়ে চাহিদা ও জনপ্রিয়তার কারণে পিআইসির বৈঠকে এটি সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মো. সাইফুজ্জামান গত ২৪ মে যুব ও ক্রীড়াসচিব মো. মাহবুব-উল-আলমকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি জানান, মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে প্রকল্পের ব্যয় ২৫ শতাংশ বা ৭৫ কোটি টাকা বাড়বে।
প্রকল্পের ৩০০ কোটি টাকার কাজ উন্মুক্ত দরপত্রে ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে। এর আওতায় ৪৮ জেলায় ২৮ হাজার ৮০০ যুব নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। প্রশিক্ষণ বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাতা ও তিন বেলা ৩০০ টাকার খাবার দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে ১৬ জেলায় প্রশিক্ষণের কাজও ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড পেয়েছিল, যার মেয়াদ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর জানায়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৬৪ শতাংশ অর্থ উপার্জন করছেন এবং ২১ শতাংশ চাকরি করছেন।
প্রতিটি জেলায় ২৫টি কম্পিউটার ও হাইস্পিড ইন্টারনেট-সংবলিত দুটি ল্যাব স্থাপন করেছে ই-লার্নিং। প্রতি ল্যাবে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আগ্রহীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক এবং বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর।
এমএএইচ