মঙ্গলবার; ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫; ১ পৌষ ১৪৩২

বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি টাকার ‘ডিজিটাল ন্যানো ঋণ’ বিতরণ ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি টাকার ‘ডিজিটাল ন্যানো ঋণ’ বিতরণ

-ইনফোটেক ইনসাইট ডেস্ক

Published : ১১:০৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে জামানতবিহীন ডিজিটাল ন্যানো ঋণ নিতে পারছেন গ্রাহকেরা। বাণিজ্যিকভাবে সেবাটি চালুর তিন বছরের মধ্যেই বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি এই ঋণ বিতরণ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত সারা দেশে ১৯ লাখের বেশি গ্রাহক এই অতিক্ষুদ্র ঋণসুবিধা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ নারী। বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৭ লাখের বেশি বার এই জামানতবিহীন ঋণ নেওয়া হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায়- অনেক গ্রাহক একাধিকবার এই সুবিধা ব্যবহার করছেন।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানায়, বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের এই ডিজিটাল ঋণ নিতে কোনও ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। গ্রাহকেরা মাত্র কয়েকটি ধাপে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। এই ঋণের সর্বোচ্চ পরিশোধকাল তিন মাস।

ঋণসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী গ্রাহকেরাই সবচেয়ে বেশি এই ঋণ নিচ্ছেন। পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের গ্রাহকদের মধ্যেও এই ঋণের ব্যবহার তুলনামূলক বেশি। বিকাশ জানায়, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসার মূলধন বৃদ্ধি, নতুন উদ্যোগ শুরু, ভ্রমণসহ নানা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে গ্রাহকেরা এই অর্থ ব্যবহার করছেন।

পর্যায়ক্রমে ঋণের সীমা বাড়ানো হয়েছে। শুরুতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও পরে তা ৩০ হাজার টাকা করা হয়। গ্রাহক চাহিদা বাড়ায় চলতি বছরের জুনে ডিজিটাল ন্যানো ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিকাশ অ্যাপের লেনদেনসংক্রান্ত তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করা হয় কোন গ্রাহক কত টাকার ঋণ পাবেন। যাঁরা এখনো এই ঋণসেবার আওতায় আসেননি, তাঁরা নিয়মিত বিকাশ ব্যবহার করে অ্যাড মানি, সেভিংস ও পেমেন্ট সেবাগুলো নিলে ধীরে ধীরে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন বলে জানানো হয়।

নির্ধারিত তারিখে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা কেটে নেওয়া হয়। ঋণ নেওয়ার সময়ই অ্যাপে ইন্টারেস্ট, প্রসেসিং ফিসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেখা যায়। আগাম পরিশোধের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্যবহৃত দিনের জন্যই সুদ দিতে হয়। কিস্তির সময়সীমা অ্যাপ নোটিফিকেশন ও এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

ডিজিটাল ন্যানো ঋণের পাশাপাশি বিকাশ ও সিটি ব্যাংক যৌথভাবে পে-লেটার সেবাও চালু রেখেছে। এই সেবার মাধ্যমে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও গ্রাহকেরা জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে পরে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ