বৃহস্পতিবার; ২০ নভেম্বর ২০২৫; ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

আইএসপি অপারেটরদের আয়ের ৫.৫ শতাংশ বিটিআরসি চায় ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

আইএসপি অপারেটরদের আয়ের ৫.৫ শতাংশ বিটিআরসি চায়

-ইনফোটেক ইনসাইট রিপোর্ট

Published : ১০:৫৪, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

দেশর ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে (আইএসপি) আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিতে হবে। প্রস্তাবিত ব্রডব্যান্ড অপারেটর ও স্থায়ী লাইনের টেলিফোন সেবাদাতাদের জন্য নতুন লাইসেন্সিং কাঠামোয় আইএসপিকে বার্ষিক আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে দিতে হবে। এতে করে গ্রাহকদের বিল বাড়তে পারে, কমতে পারে ইন্টারনেটের গতি। যদিও মোবাইল অপারেটরদের বেলায় এই নিয়ম প্রযোজ্য রয়েছে।

খসড়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আইএসপিগুলোকে বার্ষিক মোট আয়ের আরও ১ শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে (এসওএফ) জমা দিতে হবে। এই তহবিল প্রত্যন্ত এলাকায় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও সেবা সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে।

ব্রডব্যান্ড অপারেটররা মনে করছেন, রাজস্ব ভাগাভাগির এই মডেল কম লাভের ব্যবসাকে আরও চাপে ফেলবে। তারা বলছেন, আর্থিক চাপ শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের ওপর বিল বাড়িয়ে বা সেবার মান কমিয়ে চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে।

খসড়া নির্দেশিকাটি বিটিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দিতে পারবেন।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইএসপি)  সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আইএসপিগুলো খুবই কম লাভে চলে। মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশ লাভ থাকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে ১ শতাংশ দিলে লাভ বলতে কিছু থাকবে না। আমরা লোকসানে চলতে বাধ্য হবো।

তিনি খসড়া থেকে এই দুটি ধারা বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, এগুলো ব্রডব্যান্ড খাতকে মারাত্মক ক্ষতি করবে। এটা সরকারের ইন্টারনেটের দাম কমানো ও সংযোগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ধরনের কর শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের খরচ বাড়াবে।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ