বৃহস্পতিবার; ২০ নভেম্বর ২০২৫; ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন: আইসিটি বিভাগ ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন: আইসিটি বিভাগ

-ইনফোটেক ইনসাইট ডেস্ক

Published : ১২:১৯, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে সরকারের  আইসিটি বিভাগ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দাপুলিশের একটি দল ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়।  তবে এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে, যা সকালে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে; যা সকালে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে এনইআইআর বাস্তবায়নের সঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেটের লাগাম টানতে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি বৈঠকও করেছে। এতো কিছুর পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কোনও কোনও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার ওপর দায় চাপিয়েছে। তাদের উদ্দেশেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার কোনও সংশ্লিষ্টতা থাকার অবকাশই নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিককে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহামানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও এমন প্রোপাগাণ্ডা মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই ভুলুণ্ঠিত করছে।

আমরা মনে করি, এ ধরনের অসত্য তথ্য প্রচার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাই আশা করি, এরপর আর কেউ এ ধরনের লেখায় বিভ্রান্ত হবেন না।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসা থেকে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাবাদ শেষে বুধবার সকালে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং মিজানুর রহমান সোহেলের প্রতি সংঘটিত হেনস্থার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। একইসঙ্গে সব গণমাধ্যম কর্মীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ