.png)

বাংলাদেশে ফিনটেক খাতের উত্থান
Published : ১৭:৪১, ৫ অক্টোবর ২০২৫
সম্প্রতি বাংলাদেশের ফিনটেক খাত দ্রুত পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে ২০২৪ সালে ১৫৮ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেড়েছে। এই বুমের পেছনে রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া। এটি সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে এবং ৫০০-এর বেশি স্টার্টআপকে উদ্দীপ্ত করছে। এমন কয়েকটি ট্রেন্ডি টপিক নিয়ে আলোচনা যা অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করছে।
ডিজিটাল পেমেন্টস এবং এমএফএস-এর বিস্ফোরণ
বিকাশ, নগদ এবং রকেটের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ফিনটেকের মূল চালিকাশক্তি। ২৩৯ মিলিয়ন অ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট এবং ১.৮ মিলিয়ন এজেন্ট নেটওয়ার্কের সাহায্যে দৈনিক লেনদেন ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এটি এসএমই এবং গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেছে, লেনদেন খরচ কমিয়ে অর্থনৈতিক গতি বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্রেন্ড ২০২৫-এ ক্যাশলেস ইকোনমির ভিত্তি গড়বে।
ওয়েলথটেক: যুবকদের ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট
ওয়েলথটেক সেক্টর অবিকশিত সম্ভাবনার সোনার খনি। ৬৫ শতাংশ মিলেনিয়াল এবং জেন জেড জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক অংশগ্রহণ কম হলেও, ডিজিটাল ব্রোকার প্ল্যাটআপস যেমন ট্রেক এবং উইগ্রো গেমিফাইড অ্যাপস দিয়ে যুবকদের অনবোর্ডিং সহজ করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সক্রিয় ১.৭ মিলিয়ন বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০ মিলিয়ন ছাড়ানোর লক্ষ্য। এটি রেমিটেন্স থেকে ইনভেস্টমেন্টে রূপান্তর ঘটাচ্ছে, বিশেষ করে নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিদের জন্য।
অ্যাগ্রি-ফিনটেক: গ্রামীণ অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
কৃষি-ভিত্তিক ফিনটেক উচ্চ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে। গ্রামীণ অঞ্চলের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য এটি ঋণ, বীমা এবং সাপ্লাই চেইন সল্যুশন প্রদান করছে। ২০২৫-২০২৮ সালে এই সেক্টর পেমেন্টসের পর সবচেয়ে দ্রুত বাড়বে, কারণ এটি কৃষকদের বাস্তব সমস্যা সমাধান করছে। সরকারি নীতি এবং স্টার্টআপের সমন্বয়ে এটি খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াবে।
এআই এবং ব্লকচেইন: স্মার্ট ফাইন্যান্সের যুগ
এআই-চালিত হাইপার-পার্সোনালাইজেশন ২০২৫-এর শেষে প্রেডিকটিভ ব্যাঙ্কিং নিয়ে আসবে, যখন ব্লকচেইন ২০২৭-এ ডিসেন্ট্রালাইজড আইডেন্টিটি এবং স্মার্ট কনট্রাক্টস চালু করবে। এগুলো প্রতারণা চিহ্নিতকরণ এবং ক্রস-বর্ডার পেমেন্টস সুরক্ষিত করছে, যা ফিনটেকের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াচ্ছে।
এই ট্রেন্ডগুলো বাংলাদেশকে ফিনটেক হাবে রূপান্তরিত করছে, তবে নিয়ন্ত্রক চ্যালেঞ্জ এবং সাইবার সিকিউরিটি মোকাবিলা করতে হবে। ইনোভেশন অব্যাহত থাকলে এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
এমএএইচ