.png)

ব্যাংকগুলোকে নীট মুনাফার ১ শতাংশ স্টার্টআপ তহবিলের জন্য রাখতে হবে
Published : ০০:৫৫, ১০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক স্টার্টআপ খাতে অর্থায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যা এই খাতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতদিন স্টার্টআপ বাংলাদেশ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, ঋণ এবং প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে স্টার্টআপদের সহায়তা দিয়ে এলেও সুনির্দিষ্ট কোনও রূপরেখা ছিল না। এই শূন্যতা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম ডিপার্টমেন্ট (এসএমইএসপিডি) থেকে ৯ জুলাই (বুধবার) তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের উদ্দেশে একটি ‘মাস্টার সার্কুলার’ জারি করা হয়েছে। এই পরিপত্রে স্টার্টআপ উদ্যোগের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, অর্থায়ন তহবিলের উৎস এবং অর্থায়ন প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্টার্টআপ তহবিল গঠন: ২০২১ সাল থেকে চালু নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংককে তাদের বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত নিট মুনাফার ১ শতাংশ ‘অন্যান্য দায়’ হিসেবে নিজস্ব স্টার্টআপ তহবিলে জমা করতে হবে। এই তহবিল থেকে ব্যাংকগুলো স্টার্টআপদের ঋণ, বিনিয়োগ বা ইক্যুইটি বিনিয়োগ প্রদান করতে পারবে।
অর্থায়নের পরিমাণ: ২ বছরের কম বয়সী স্টার্টআপ: সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা। ২-৬ বছর বয়সী স্টার্টআপ: সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা। ৬-১২ বছর বয়সী স্টার্টআপ: সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা। এই অর্থ মেয়াদী বা চলতি মূলধন ঋণ হিসেবে প্রদান করা যাবে।
উদ্যোক্তার বয়সসীমা: স্টার্টআপ অর্থায়নের জন্য উদ্যোক্তার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২১ বছর।
সুদের হার: তফসিলি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ০.৫ শতাংশ সুদে তহবিল ঋণ নিতে পারবে। এই তহবিল থেকে স্টার্টআপদের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার তহবিল এই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল: প্রতি অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর নিট মুনাফার ১ শতাংশ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পৃথক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান গঠন করবে, যা থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো ইক্যুইটি বিনময়ে স্টার্টআপে বিনিয়োগ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, পরিপত্র অনুযায়ী, স্টার্টআপ হলো এক বা একাধিক দেশি বা দেশি-বিদেশি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত, অপার সম্ভাবনাময়, বিস্তৃতিযোগ্য এবং প্রযুক্তিনির্ভর নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্য বা সেবা প্রদানকারী উদ্যোগ।
এমএএইচ