.png)

টেলিযোগাযোগ খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানে আস্থার সংকট
Published : ১৮:৪৫, ১২ জুলাই ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে টেলিযোগাযোগ খাতে অতিরিক্ত লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ‘অতিরিক্ত লেয়ার ইনজেক্ট’ করা হয়েছে। তিনি জানান, ৩ হাজার ৪০০ -এর বেশি লাইসেন্স ইস্যু করে এই খাতের ইকোসিস্টেমের অপব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং নীতি সংস্কার শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ খাতের অপারেটরদের উদ্দেশে ফয়েজ আহমদ বলেন, লাইসেন্সধারীদের নিজেদের স্বার্থের বিষয়ে ছাড় দিয়ে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। সমঝোতা ছাড়া সরকার যত ভালো নীতিমালাই প্রণয়ন করুক না কেন, তা কার্যকর হবে না।
নতুন টেলিযোগাযোগ নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে খাতে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে, সেখানে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে কাউকে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া প্রতিযোগিতার জন্য ক্ষতিকর।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, নতুন নীতিমালায় নানা জটিলতা থাকায় আমাদের পক্ষে প্রিন্সিপাল অবজেক্টিভ অ্যাচিভ করা কঠিন হয়ে পড়বে। নীতিমালার অবজেক্টিভে উদ্ভাবন ও বিনিয়োগবান্ধবের কথা বলা হলেও তা কতটুকু অ্যাচিভ করতে পারবো তা বলা যাচ্ছে না।
এই নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে তা অন্তত ১৫ বছরের জন্য টেলিযোগাযোগ খাতকে সুরক্ষা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, দেশে বর্তমানে মানুষের মোট চাহিদা ৭ দশমিক ৫ থেকে ৭ দশমিক ৮ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ। এই চাহিদার ৬৫-৭০ শতাংশ প্রয়োজন মেটায় আইএসপিরা। সেই আইএসপির জন্য দাম ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোবাইল অপারেটরদের জন্য এটা ওপেন মার্কেট। এটা একটা বিরাট বৈষম্য, বিশেষ করে বর্তমান এই সরকারের কাছে। তিনি আরও বলেন, অ্যাক্টিভ শেয়ারিংটা মনে হয় শিগগিরই অনুমোদন দেওয়া উচিত। এটা লাস্ট মাইল ইউজারের স্বার্থেই আমাদের এই জিনিসটা নিশ্চিত করা উচিত।
টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দে’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। আলোচনায় অংশ নেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইওহান বুসে, রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম, ফাইবার অ্যাট হোমের সিআইও সুমন আহমেদ সাবির, বিশ্বব্যাংক পরামর্শক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এমএএইচ