.png)

দুদক চেয়ারম্যানকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি, সহযোগিতা চেয়েছি: ফয়েজ
Published : ১৩:২৮, ৮ জুলাই ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে উত্থাপিত সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি শুধু দুদকের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন, কোনও নির্দেশনা দেননি। তিনি আরও জানান, এই পদক্ষেপ না নিলে ৬০০ কোটি টাকার সম্ভাব্য ক্ষতি হতে পারে। ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এবং তার মন্ত্রণালয়ের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন বলেও দাবি করেছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও বক্তব্য দেন।
ফয়েজ আহমেদ সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২২ সালে গৃহীত বিটিসিএলের ‘অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের ক্রয়প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করা হয়। তবে দেশের স্বার্থ, ফাইভ-জি প্রস্তুতি, বিটিসিএলের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থাপিত যন্ত্রপাতি চালুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রকল্পটি চালু রাখতে দুদকের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এই চিঠি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমেদ বলেন, কিছু কোম্পানি বিটিসিএলকে বাজার থেকে বের করে দিতে চায়। তিনি দুদককে লেখা চিঠিতে বিটিসিএলের নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। বর্তমানে বিটিসিএলের জেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সক্ষমতা মাত্র ১ জিবিপিএস, যা উন্নত সেবা প্রদানে অপ্রতুল। তিনি বলেন, বিটিসিএল যদি এখন নেটওয়ার্ক আধুনিক না করে, তাহলে দ্রুতই বাজার থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, প্রকল্পের আইপি নেটওয়ার্কের ৭০-৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। তবে এই নেটওয়ার্ক সংযোগের জন্য ডিডাব্লিউএম নেটওয়ার্ক প্রয়োজন, যা বন্ধ রয়েছে। তিনি প্রস্তাব করেছেন, একটি কমিটি গঠন করে প্রতিশ্রুত যন্ত্রপাতির গুণগত মান নিশ্চিত করা হোক, যাতে কাজ এগিয়ে যায়।
ফয়েজ আহমেদ বলেন, চিঠিকে অপব্যাখ্যা করে আমাকে, আমার মন্ত্রণালয় ও সরকারকে চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমি ও আমার মন্ত্রণালয়ের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সব কাজ পূর্ববর্তী সরকারের আমলে হয়েছে এবং তারা শুধু যুক্তি তুলে ধরে দুদকের সহযোগিতা চেয়েছেন, কোনও নির্দেশ দেননি।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটির বিরুদ্ধে দুদকের পর্যবেক্ষণ ছাড়া কোনও মামলা নেই। যদি কাজ বন্ধ থাকে এবং এলসি না খোলা হয়, তাহলে ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে এবং বিটিসিএল বাজার থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমেদ টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি- ২০২৫ নিয়েও কথা বলেন।
এমএএইচ