বৃহস্পতিবার; ২০ নভেম্বর ২০২৫; ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

মোবাইল ফোন থেকে শুল্ক কমাতে উদ্যোগর বিটিআরসির ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

মোবাইল ফোন থেকে শুল্ক কমাতে উদ্যোগর বিটিআরসির

-ইনফোটেক ইনসাইট রিপোর্ট

Published : ১০:২২, ১০ নভেম্বর ২০২৫

মোবাইল ফোন আমদানি এবং উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই পদক্ষেপে অবৈধ মোবাইল বাণিজ্য রোধ, রাজস্ব সংরক্ষণ এবং নিরাপদ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

বিটিআরসির তথ্যমতে, দেশে স্মার্টফোন উৎপাদনের হার প্রায় ৬৩ শতাংশ। বাকি অংশ আমদানিনির্ভর। কিন্তু আমদানিকৃত ফোনের ওপর উচ্চ ভ্যাট ও শুল্কের কারণে স্থানীয় উৎপাদকরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) উৎপাদিত ও আমদানিকৃত ফোনের কর কাঠামো যৌক্তিকভাবে পুনর্বিচারের প্রস্তাব দিয়েছে বিটিআরসি। চিঠিতে মোবাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশর ওপর কর ছাড়ের সুপারিশও করা হয়েছে। বর্তমানে আমদানিকৃত হ্যান্ডসেটের শুল্ক ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দেশে প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ এখনো স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না। ফলে নেটওয়ার্কের আওতায় থেকেও তারা ইন্টারনেট থেকে পিছিয়ে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে আমদানি করা হ্যান্ডসেট বাজারে বিক্রি হচ্ছে, যাতে সরকার বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

জানা গেছে, এনইআইআর চালুর আগে বাজারে থাকা অনুমোদনহীন হ্যান্ডসেটের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এসব ফোনের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির ডাটাবেজে যুক্ত করার সুযোগ রাখা যেতে পারে, যাতে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ ক্ষতিগ্রস্ত না হন।

বিটিআরসি মনে করে, এনইআইআর চালু হলে বৈধ মোবাইল উৎপাদন ও বিক্রি বাড়বে। রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা আসবে এবং ব্যবহারকারীরা নিরাপদ সেবা পাবেন।

বিটিআরসির মহাপরিচালক মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে অবৈধ ফোন রোধ, রাজস্ব সুরক্ষা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এনইআইআর বাস্তবায়নের জন্য গত ৪ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ