বৃহস্পতিবার; ২০ নভেম্বর ২০২৫; ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

এআইভিত্তিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো গ্রামীণফোন ছবি- সংগৃহীত

এআইভিত্তিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো গ্রামীণফোন

Info Tech

Published : ১৬:৪৫, ৬ নভেম্বর ২০২৫

গ্রামীণফোনের আয়োজনে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো ফিউচারমেকার্স প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এটি ছিল দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল সারাদেশের তরুণ মেধাবীদের এমন প্রযুক্তি-নির্ভর সমাধান তৈরি করতে উৎসাহিত করা, যা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আরও স্মার্ট ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করবে।

ইশারা: বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেটর প্রকল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ওয়াটারমেলন। টিম ওপিয়ন তাদের এআই-ড্রিভেন নিউজ ক্রেডিবিলিটি প্ল্যাটফর্ম প্রকল্পের জন্য হয়েছে প্রথম রানার-আপ। টিম সিন্যাপজ তাদের এআই ইনক্লুশন ফর ডিফারেন্টলি-এবলড লার্নারস প্রকল্প এবং টিম লাস্তা তাদের দিশা: ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন থ্রো এআই প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছে।  বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিচারকের দায়িত্বে থাকা গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশীদ এবং চিফ ইনফরমেশন অফিসার ড. নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, আমরা যখন এআই-নির্ভর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন তরুণ প্রজন্মকে সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও মানসিকতা অর্জনে সহায়তা করাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন বলেন, ফিউচারমেকার্সের মতো উদ্যোগ তরুণদের মধ্যে উদ্ভাবনী ও সমস্যা সমাধানের মানসিকতা জাগিয়ে তুলবে এবং মানবকল্যাণে এআই ব্যবহারে তাদের উৎসাহিত করবে।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল ফিউচারমেকার্স প্রতিযোগিতা। প্রাথমিক বাছাই পর্ব শেষে নির্বাচিত দলগুলো বিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের সামনে তাদের এআই-ভিত্তিক ধারণাগুলো উপস্থাপন করে। বিচারকদের মধ্যে ছিলেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা এবং গ্রামীণফোনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কর্মকর্তারা। মৌলিকতা, বাস্তবায়নযোগ্যতা, সামাজিক প্রভাব এবং বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে এআই-এর তাৎপর্যপূর্ণ প্রয়োগ- এই কয়েকটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে ধারণাগুলো মূল্যায়ন করা হয়।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ