বৃহস্পতিবার; ২০ নভেম্বর ২০২৫; ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

মোবাইল শিল্পে বিনিয়োগ ২ হাজার ৫০০ কোটি, সুরক্ষা দেবে এনইআইআর ছবি: ইনফোটেকইনসাইট ডট কম

মোবাইল শিল্পে বিনিয়োগ ২ হাজার ৫০০ কোটি, সুরক্ষা দেবে এনইআইআর

-ইনফোটেক ইনসাইট রিপোর্ট

Published : ১৭:২০, ৫ নভেম্বর ২০২৫

গত আট বছরে দেশে ১৭টি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হ্যান্ডসেট তৈরিতে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এতে লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অবৈধ ফোনের কারণে এই শিল্প এখন হুমকির মুখে। এ হুমকি মোকাবিলায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতীয় ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)। সংগঠনটির আহ্বান  এটি যেন আর কখনও বন্ধ না হয়।

বুধবার ( ৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এর আয়োজন করে এমআইওবি।

এমআইওবি সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ বলেছেন, বাজারে থাকা মোবাইল ফোনের ৬০ শতাংশই অবৈধ। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। তিনি জানান, মোবাইল ফোন তৈরির সরঞ্জামের দাম ৬০ শতাংশ বাড়লেও তারা দাম বাড়াননি। আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের কর বৈষম্য কমাতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সরকারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগের বিরুদ্ধে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। লাগেজ পার্টির মাধ্যমে চোরাই, নকল, কপি ও রিফার্বিশড হ্যান্ডসেটের ব্যবসা গড়ে উঠেছে, যোগ করেন তিনি।

এনইআইআর চালু হলে ফোনের দাম এক টাকাও বাড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের রাজস্ব আয় হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাবে।

প্রবাসী বা বিদেশি নাগরিকদের হ্যান্ডসেট বন্ধ হলে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের ৩০ দিন সময় দেওয়া হবে। অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। পর্যটকদের বেলায়ও এই নিয়ম প্রযোজ্য।

এমআইওবি সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক বলেন, একটি ব্র্যান্ড বাদে বিশ্বের সব মোবাইল ব্র্যান্ড দেশে উৎপাদন করছে। দেশের ৯০ শতাংশ চাহিদা মেটানো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফোনের মাধ্যমে। শতভাগ সক্ষমতার মাত্র ৪০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে।

৯০ শতাংশ দেশীয় উৎপাদক নিজেরাই পিসিবি ও মাদারবোর্ড তৈরি করে বিশ্বমানের হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছে। এনইআইআর চালু থাকলে আমরা আরও এগোতে পারতাম, যোগ করেন তিনি।

বর্তমানে মোবাইল বাজার ২০ হাজার কোটি টাকার। এনইআইআর সফল হলে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা যুক্ত হবে বলে জানান রেজওয়ানুল।

সংবাদ সম্মেলনে স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, গ্রে মার্কেট দেশের জন্য হুমকি। আইফোনের প্রায় পুরোটাই অবৈধ পথে আসে, সরকার কোনও রাজস্ব পায় না। এনইআইআর সবার জন্য কল্যাণকর।

স্যামসাংয়ের অনুমোদিত পরিবেশক এক্সেল টেলিকমের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন টিপু জানান, গ্রে মার্কেটের বেশিরভাগ রিফার্বিশড ও চোরাই। দেশে বিশ্বমানের উৎপাদন হচ্ছে, রফতানির সুযোগ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন এমআইওবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল বাশার।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ