বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালায় ইন্টারনেট সেবার দাম বাড়বে ২০ শতাংশ
Published : ১৭:১২, ৩ নভেম্বর ২০২৫
দেশীয় ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর নতুন রেভিনিউ শেয়ার, লাইসেন্স ফি ও ক্রয়মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রণীত খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
রবিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত নীতিমালা কার্যকর হলে (রেভিনিউ শেয়ার, এসওএফ ইত্যাদি) দেশে ইন্টারনেটের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যাবে। এতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ ছোট ও দেশীয় আইএসপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন আইএসপিএবির মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁঞা। মূল প্রেজেন্টেশন ও লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সভাপতি আমিনুল হাকিম।
আমিনুল হাকিম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের টেলিকম নীতি এখন জনস্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বর্তমানে সরকার এ খাত থেকে ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ রাজস্ব পায়। নতুন প্রস্তাবে তা বেড়ে ৪০.২৫ শতাংশ হবে।
তিনি জানান, ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) ওপর ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার, ১ শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) এবং ক্রয়মূল্যে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে শহর-গ্রামের ডিজিটাল বৈষম্য বাড়বে। একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে নীতি তা আরও ব্যয়বহুল করছে, যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস ও লাস্ট মাইল ফাইবারের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে দেশীয় আইএসপিগুলোর জন্য অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আমিনুল হাকিম বলেন, “পাকিস্তান ও শ্রীলংকার চেয়ে আমাদের ইন্টারনেটের দাম কম। ভারতের সঙ্গে প্রায় সমান। নতুন নিয়মে ৭০০ টাকার প্যাকেজ ৮৫০-৯০০ টাকায় উঠতে পারে। এ চাপ তৃণমূল গ্রাহকদের ওপর পড়বে।
আইএসপিএবির দাবি, নীতিমালা সংস্কার করে খরচ কমাতে হবে, যাতে সেবার মূল্য স্থিতিশীল থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যমের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হয়।
এমএএইচ












