.png)

সিঁড়ি বেয়ে বা লিফটে ওঠার আগে একটু ভাবুন
Published : ১৬:৪১, ২৬ জুন ২০২৫
লিফট বা এস্কেলেটর ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও সিঁড়ি বেছে নেওয়া একটি সহজ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস হতে পারে, যা শরীর ও মনের জন্য উল্লেখযোগ্য উপকার বয়ে আনে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, সিয়ান গ্রিসলি মাত্র ২২ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট ২ সেকেন্ডে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামার মাধ্যমে মাউন্ট এভারেস্টের সমান উচ্চতা (৮,৮৪৯ মিটার) অতিক্রম করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। তিনি এই অসাধারণ কীর্তি সম্পন্ন করেন লাস ভেগাসে নিজের বাসায়।
এই ধরনের চরম কীর্তির বাইরেও রয়েছে "টাওয়ার রানিং" নামে একটি ক্রীড়া, যেখানে প্রতিযোগীরা উঁচু ভবনের সিঁড়ি বেয়ে দ্রুত উপরে ওঠেন। এই খেলার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং র্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও রয়েছে।
তবে আমাদের অধিকাংশের জন্য প্রতিদিন কয়েক ধাপ সিঁড়ি বেয়ে ওঠাই শরীর ও মনের জন্য যথেষ্ট উপকারী হতে পারে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা উল্লেখ করা হলো:
শারীরিক উপকারিতা
কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস বৃদ্ধি: সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
পেশি ও জয়েন্ট শক্তিশালীকরণ: এটি পায়ের পেশি, গ্লুটস এবং কোর পেশিকে সক্রিয় করে, যা শরীরের স্থিতিশীলতা ও শক্তি বাড়ায়।
ক্যালোরি বার্ন: সমতল পথে হাঁটার তুলনায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠা প্রায় দ্বিগুণ ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক ও মস্তিষ্কের উপকারিতা
মেজাজ উন্নয়ন: স্বল্প সময়ের জন্য সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পর মানুষ বেশি উদ্যমী ও সুখী অনুভব করে।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি: এই ব্যায়াম সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক।
স্মৃতি ও শেখার ক্ষমতা উন্নয়ন: নিয়মিত সিঁড়ি বেয়ে ওঠা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ও শেখার ক্ষমতা উন্নত করে।
দৈনন্দিন জীবনে সহজে অন্তর্ভুক্তি
সিঁড়ি বেয়ে ওঠা একটি সহজ, ব্যয়বহুল এবং কার্যকর ব্যায়াম, যা অফিসে, বাসায় বা যেকোনও ভবনে সহজে করা যায়। প্রতিদিন লিফট বা এস্কেলেটরের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুললে দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
সুতরাং, পরের বার যখন আপনি লিফটের সামনে দাঁড়াবেন, তখন একবার ভেবে দেখুন—সিঁড়ি বেয়ে ওঠার এই ছোট্ট সিদ্ধান্ত আপনার শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকার বয়ে আনতে পারে!
এমএএইচ