সোমবার; ২৭ অক্টোবর ২০২৫; ১১ কার্তিক ১৪৩২

রাজশাহী হাইটেক পার্কের পালে বিনিয়োগের হাওয়া ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রাজশাহী হাইটেক পার্কের পালে বিনিয়োগের হাওয়া

-ইনফোটেক ইনসাইট রিপোর্ট

Published : ১১:৪৫, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের নতুন জোয়ার এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট স্টারলিংক স্যাটেলাইট বাংলাদেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহীর হাইটেক পার্কে এক একর জমি ৪০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করেছে কোম্পানিটি। চলতি বছরের এপ্রিলে প্লট বরাদ্দ পাওয়ার পর ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এজন্য স্টারলিংককে প্রতি বর্গমিটারের জন্য বছরে দুই ডলার এবং সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হবে। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে রাজশাহী হাইটেক পার্কে বড় বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হলো। দেশি-বিদেশি কোম্পানির ক্রমবর্ধমান আগ্রহের ফলে পার্কটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন গতি পেয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

স্টারলিংক ইতোমধ্যে রাজশাহী হাইটেক পার্কে তাদের গ্রাউন্ড স্টেশনের কাজ শেষ করেছে। এই স্টেশনের মাধ্যমে তারা সারা দেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে। শুধু রাজশাহী নয়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও যশোর হাইটেক পার্কেও স্টারলিংক তাদের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করেছে। এসব স্টেশন থেকে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

পদ্মা নদীর তীরে নগরীর কোর্ট এলাকার পাশে ৩১ একর জমিতে ৩৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাজশাহী হাইটেক পার্ক। ২০২৪ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। পার্কে রয়েছে ১২তলা বিশিষ্ট সিলিকন টাওয়ার, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং আটটি প্লট। এর মধ্যে একটি প্লট লিজ নিয়েছে স্টারলিংক।

পার্ক সূত্রে জানা গেছে, সিলিকন টাওয়ারের সামনে থাকা আটটি প্লট বড় কোম্পানিগুলোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে স্টারলিংক ও অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া ব্র্যাক আইটি দুই একর জমি বরাদ্দ চেয়েছে। তাদের প্রায় ৬৫০ জন আইটি ডেভেলপারকে এখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা চলছে।

সিলিকন টাওয়ারে বরাদ্দযোগ্য মোট স্পেস ৮৪ হাজার ৬৬১ বর্গফুট। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৪৪৮ বর্গফুট ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, আর ২৪ হাজার ৬৩৭ বর্গফুট বরাদ্দ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অবশিষ্ট ৯ হাজার ৫৭৬ বর্গফুটের জন্য আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। টাওয়ারে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৮টি ব্লক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১১টি কোম্পানি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে, চারটি ইন্টেরিয়রের কাজ চালাচ্ছে, এবং একটি কোম্পানি শিগগিরই কাজ শুরু করবে।

জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্টের লুটপাটের ঘটনায় হাইটেক পার্ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্টার সিনেপ্লেক্স এখনো বন্ধ থাকলেও নেত্র সিস্টেমস লিমিটেড ও বিজনেস অটোমেশনের মতো কোম্পানিগুলো ক্ষতি কাটিয়ে উঠে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ