.png)

এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপল
Published : ১২:১৬, ৪ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তার কোম্পানি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রস্তুত। এ লক্ষ্যে অ্যাপল নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণ বা এআই খাতে বড় কোনও কোম্পানি অধিগ্রহণের পথে হাঁটতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের এক অনুষ্ঠানে টিম কুক এআই খাতে বর্ধিত বিনিয়োগের বিষয়ে এই ইঙ্গিত দেন। এটিকে অ্যাপলের দীর্ঘদিনের মিতব্যয়ী নীতি থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে অ্যাপলকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মাইক্রোসফট ও গুগলের এআই-চালিত চ্যাটবট এবং ভার্চুয়াল সহকারী ইতিমধ্যে লাখো ব্যবহারকারীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই অগ্রগতির পেছনে উভয় কোম্পানি ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।
গুগল আগামী এক বছরে ৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং মাইক্রোসফট ডেটা সেন্টারের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে, অ্যাপল এখন পর্যন্ত ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্য বাইরের ডেটা সেন্টার প্রদানকারীদের ওপর নির্ভর করেছে। এ ছাড়া, আইফোনের নির্দিষ্ট ফিচারের জন্য অ্যাপল চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআইয়ের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে। তবে অ্যাপল তাদের বেশিরভাগ এআই প্রযুক্তি, বিশেষ করে ভার্চুয়াল সহকারী সিরির উন্নয়ন, নিজস্বভাবে করার চেষ্টা করছে, যদিও এর ফলাফল এখনও প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছায়নি। সিরির উন্নত সংস্করণের উদ্বোধন আগামী বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে এক সম্মেলনে বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন যে, অ্যাপল ঐতিহাসিকভাবে বড় অধিগ্রহণে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। তারা জানতে চান, এআই লক্ষ্য পূরণে অ্যাপল এবার ভিন্ন কোনও কৌশল গ্রহণ করবে কিনা। জবাবে টিম কুক জানান, এ বছর অ্যাপল ইতিমধ্যে সাতটি ছোট প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করেছে এবং প্রয়োজনে বড় কোম্পানি কিনতেও প্রস্তুত।
অ্যাপল সাধারণত ছোট প্রযুক্তি কোম্পানি অধিগ্রহণ করে, যাদের বিশেষায়িত পণ্য উন্নয়নের জন্য দক্ষ কারিগরি দল থাকে। অ্যাপলের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ ছিল ২০১৪ সালে ৩ বিলিয়ন ডলারে বিটস ইলেকট্রনিকস কেনা। এছাড়া, ২০১৯ সালে ইন্টেলের মডেম চিপ ব্যবসা ১ বিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করা হয়।
বর্তমানে অ্যাপল একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এআই খাতে বড় বিনিয়োগ ছাড়া ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা তাদের জন্য কঠিন হতে পারে। অ্যাপলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কেভান পারেখ কোনও নির্দিষ্ট বাজেটের পরিমাণ উল্লেখ না করলেও জানিয়েছেন, এআই খাতে ব্যয় বাড়াতে অ্যাপল প্রস্তুত।
এমএএইচ