শুল্ক কমানোয় ব্যাটারি শিল্পে ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে

বাংলাদেশে সবুজ প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহণ, ইভি (ইলেকট্রনিক ভেহিকেল) ও লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি জারি করা দুটি পৃথক এসআরও-এর মাধ্যমে ই-বাইক ও লিথিয়াম, গ্রাফিন ব্যাটারির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার ক্ষেত্রবিশেষে  ৬০-৮০% থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে হুয়াওয়ে, টয়োটা ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তত ২০০ কোটি টাকা তাৎক্ষণিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা করছে।  এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন ই-বাইক, তিন ও চার চাকার ইভি এবং মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির স্থানীয় উৎপাদন শুরু হবে।  এতে দেশের জ্বালানি সাশ্রয়, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্র্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের উদ্যোগে এই নীতিগত অগ্রগতি ঘটে। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন।  গত ৫ মে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন ধরনের রেফারেন্স সহযোগে একটি গবেষণা ভিত্তিক ডিও প্রেরণ করেন।  

নতুন এসআরও কার্যকর হলে দেশে ই-বাইক, লিথিয়াম আয়ন ও লিথিয়াম-গ্রাফিন ব্যাটারি উৎপাদনের পথ উন্মুক্ত হবে।

ইজি বাইক ও রিকশায় গবেষণা-অ্যাসিড ব্যাটারির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত হবে।  দেশি শিল্পে গতি ও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে এবং রপ্তানি বিকাশ ও অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লিকেজ সম্ভব হবে।  এছাড়া পুরাতন ও রিফার্বিশড পার্টস আমদানির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি ও ই-বর্জ্য বৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল, প্রস্তাবনা মতে তা বন্ধ করতে ২০২২ সালের এসআরও নং ১২৩ বাতিল করা হয়েছে। এতে প্রতিবছর সরকার আনুমানিক ১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পুনরুদ্ধার করতে পারবে।

তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর, পরিবেশবান্ধব একটি সবুজ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এই নীতিগত সংস্কারকে ‘সবুজ ট্রান্সপোর্টেশন, ইভি এবং পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি শিল্প উৎপাদনে নতুন এক  যাত্রার  ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।