.png)

বিক্রয় কমিশনের ওপর ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার চান ই-কমার্স উদ্যোক্তারা
Published : ১২:৪২, ৪ জুন ২০২৫
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনলাইন বিক্রির কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় ই-ক্যাবের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে এই দাবি জানান সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা।
ই-ক্যাবের নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি না থাকায় প্রশাসক মুহাম্মদ সাঈদ আলীর উপস্থিতিতে সংগঠনের সাধারণ সদস্যরাই এবারের বাজেট প্রতিক্রিয়া তুলে ধরতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রশাসক সাঈদ আলী বলেন, ই-ক্যাবের সদস্যরা প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট প্রত্যাহারের যে দাবি তুলেছে তা যৌক্তিক। আমিও মনে করি সরকার রাজস্ব আদায়ের কৌশল হিসেবে অনলাইন কেনাটাকার কমিশনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে। এতে রাজস্ব না বেড়ে উল্টো কমে যাবে। কারণ অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এই পরিমাণ ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা ব্যবসা করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে চালডাল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকতা (সিওও) জিয়া আশরাফ বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করা কঠিন হবে। ই-কমার্স খাতের সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করতে হলে এখাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে একটি বড় প্রত্যাশা ছিল ডিজিটাল ইনক্লুশন। ই-কমার্স খাত এই প্রত্যাশা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমি মনে করি ই-কমার্স খাতকে সঠিকভাবে বিকশিত করতে হলে এখাতে ২ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া প্রয়োজন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো) বলেন, আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, বিক্রয় কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করতে হলে অনেক পণ্যের খুচরা মূল্য সাধারণ স্টোর থেকে অনলাইনে বেশি পড়বে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
এজিউর কুইজিনের স্বত্তাধিকারী জান্নাতুল হক (শাপলা) বলেন, অনলাইন কেনাকাটা সময় বাঁচায়। ভ্যাট বাড়লে পণ্যের ব্যয় বাড়বে। আমরা চাই সাধারণ মানুষের জীবন-ব্যয় কমে আসুক, সময় বাঁচুক।
এমএএইচ