শুক্রবার; ২০ জুন ২০২৫; ৬ আষাঢ় ১৪৩২

২০২৪ সালে ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে কাদের তথ্য চায় সরকার ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

২০২৪ সালে ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে কাদের তথ্য চায় সরকার

-ইনফোটেক ইনসাইট ডেস্ক

Published : ১২:৫৪, ১৩ জুন ২০২৫

গত কয়েক বছর ধরে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ও গুগলের কাছে বাংলাদেশ সরকার নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে থাকে।  ফেসবুক ও গুগল সেসব অনুরোধে সাড়াও দিয়ে থাকে তবে সে সংখ্যার হার খুব বেশি নয়।  ফেসবুকের স্বচ্ছতা প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের কাছে যে পরিমাণ তথ্য চেয়েছিলো, বছর শেষে সেই সংখ্যা কমে আসে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার কাছে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে ২ হাজার ৪২৭টি অনুরোধ জানায়।  বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ১ হাজার ৫০১টি অনুরোধে ২ হাজার ২৮৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, যার ৬৮.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে মেটা সাড়া দেয়।  শেষার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৯২৬টি অনুরোধে ১ হাজার ৪৮৬টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। সাড়া পাওয়ার হার ৬৪ শতাংশ।  এছাড়া ফেসবুক ৪ হাজার ২২০টি কনটেন্টে প্রবেশ সীমিত করে, যার মধ্যে প্রথমার্ধে ২ হাজার ৯৪০টি এবং শেষার্ধে ১,২৮০টি। এরমধ্যে ফেসবুক মন্তব্য, পোস্ট, প্রোফাইল, পেজ ও গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইউটিউবের কাছে তথ্য সরানোর অনুরোধ

ইউটিউবের মূল প্রতিষ্ঠান গুগলের কাছে সরকার ৫ হাজার ৮২৭টি কনটেন্ট সরানোর ৪৯০টি অনুরোধ জানায়।  ওই বছরের প্রথমার্ধে ৩৩৭টি অনুরোধে ৪ হাজার ৪৭০টি এবং শেষার্ধে ১৫৩টি অনুরোধে ১ হাজার ৩৫৭টি কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করা হয়। গুগল ৪৫.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এবং ৩৭ ভাগ ক্ষেত্রে তথ্যের অভাব ছিল। মানহানি, নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সরকারি সমালোচনার কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ বেশি ছিল, বিশেষ করে ইউটিউবে। গুগলের কাছে জানুয়ারি-জুন সময়ে ২৮টি অনুরোধে ৩০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। মাত্র ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া পাওয়া যায়।

জানা গেছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি এসব অনুরোধ জানায়।  ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলে অনুরোধের সংখ্যা কমে বলে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে। 

মেটা ও গুগলের স্বচ্ছতা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনের আওতায় ধর্মীয় অনুভূতি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কনটেন্ট সীমিত বা সরানো হয়।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ