সোমবার; ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫; ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ষষ্ঠ ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ষষ্ঠ

-ইনফোটেক ইনসাইট ডেস্ক

Published : ১৬:০০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪৪ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। তুলনামূলকভাবে প্রতিবেশী ভারতে এই হার ৫৫ জন। উচ্চ ইন্টারনেট মূল্য, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ এ খাতে পিছিয়ে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে ভুটান, যেখানে প্রতি ১০০ জনে ৮৮ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এরপর মালদ্বীপে এই হার ৮৪ জন। সর্বনিম্ন অবস্থানে আফগানিস্তান, যেখানে প্রতি ১০০ জনে মাত্র ১৭ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। পাকিস্তানে এই সংখ্যা ২৭ জন, যারা বাংলাদেশের ঠিক পরেই রয়েছে।

মোবাইল গ্রাহক সংখ্যায় বাংলাদেশ চতুর্থ

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১৪ জন মোবাইল অপারেটরের সেবা গ্রহণ করছেন। এর মানে অনেকেই একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। শ্রীলঙ্কা এই তালিকায় শীর্ষে, যেখানে প্রতি ১০০ জনের কাছে মোবাইল সিম ১৪২টি। আফগানিস্তানে এই হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৫ জন।

মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে ভারত শীর্ষে, যেখানে ১১৫ কোটি ৮৫ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে, ১৯ কোটি ৬১ লাখ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নিয়ে। পাকিস্তান তৃতীয়, ১৮ কোটি ৮৪ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে।

ব্রডব্যান্ড ও ফোর-জি সেবায় বাংলাদেশের অগ্রগতি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালে ভারতে ৩ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করেছেন, আর বাংলাদেশে এই সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ। ফোর-জি (এলটিই) সেবার ক্ষেত্রে মালদ্বীপ শীর্ষে, যেখানে ১০০ শতাংশ জনগণ এই সেবার আওতায় রয়েছে। বাংলাদেশ এখানে দ্বিতীয়, জনসংখ্যার ৯৮.৯ শতাংশ ফোর-জি সেবার আওতাভুক্ত। ভারত তৃতীয়, ৯৮.৮ শতাংশ কাভারেজ নিয়ে।

এডিবির প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট, বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে থাকলেও মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড সেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

এমএএইচ

শেয়ার করুনঃ