.png)

এক মাসের ব্যবধানে মোবাইলের উৎপাদন বাড়লো ৯ লাখ
Published : ১১:২৩, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদনে ধ্বস নেমেছিলো গেলো ২ মাসে। ফেব্রুয়ারি মাসে যা পৌঁছে গত ডিসেম্বরের তুলনায় অর্ধেকে। সেখান থেকে এক মাসের ব্যবধানে মোবাইলের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৯ লাখ। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রকাশিত মার্চ মাসের (১৭ এপ্রিল আপডেট করা) এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্চ মাসে দেশে তৈরি মোট মোবাইলের সংখ্যা ২২ লাখ ৬৯ হাজার। গত ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ১৩ লাখ ৮৮ হাজার। মার্চ মাসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই মাসে টুজি ফোন তৈরি হয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার, ফোরজি ৭ লাখ ২৩ হাজার। খুবই স্বল্প পরিমাণে তৈরি হয়েছে ফাইভ-জি ফোন, ৪ হাজারের মতো। সব মিলিয়ে মার্চ মাসে ফিচার ফোন তৈরি হয়েছে ৬৫ দশমিক ৫১ শতাংশ আর স্মার্টফোন ৩১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
মার্চ মাসেই দেশে ২৫ হাজার ৫০০টি স্মার্টফোন (ফোর-জি) আমদানি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। গত ফেব্রুয়িারি মাসে যা ছিল ৭ হাজার ৬২০টি।
বিটিআরসির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানা গেলো, গত ডিসেম্বর মাসে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেটের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে এরমধ্যে স্মার্টফোন মাত্র ৩৬ শতাংশ, অবশিষ্ট হলো ফিচার ফোন। গত জানুয়ারি মাসে সেই মোবাইল ফোনের উৎপাদনের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ১৯ হাজার। ফেব্রুয়ারি মাসে যা নেমে যায় ১৩ লাখ ৮৮ হাজারে। প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে মোবাইলের উৎপাদন কমে ১০ লাখ ৫০ হাজারের মতো। যদিও ফেব্রুয়ারি মাসে স্মার্টফোনের উৎপাদন বাড়ে ৪১ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিটিআরসির প্রতিবেদন থেকে আরও পাওয়া যায়, ২০২৪ সালের মে মাসে মোবাইল ফোনের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো প্রায় ৩০ লাখে। এরমধ্যে ফিচার ফোন ছিল ৭৫ শতাংশ আর স্মার্টফোন ছিল ২৫ শতাংশ। এই সময়ের পর থেকে মোবাইল উৎপাদন কমতে থাকে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মোবাইলে ফোনের উৎপাদন ছিল ৩৩ লাখ ৮১ হাজার। ওই বছরের শুরুর মাসে ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যক, ৪১ লাখ ৪৫ হাজার। সে সময় স্মার্টফোনের সংখ্যা ছিল ৩৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ হাজার ৬২০ ইউনিট ফোর-জি মোবাইল আমদানি হয়েছে দেশে। জানুয়ারি মাসে কোনও ফোর-জি মোবাইল সেট আমদানি হয়নি তবে ৮৫০ ইউনিট ফাইভ-জি ফোন সেট আমদানি করা হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে ফোর-জি ফোনের আমদানির পরিমাণ ছিল ৫০০ ইউনিট।
এমএএইচ