.png)

এক বছরে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ১ কোটি ৩০ লাখ
Published : ১৮:৩৬, ৩১ মে ২০২৫
গত প্রায় এক বছরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী। গত এক বছরে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক হারিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। অপর দিকে এই এক বছরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১১ লাখ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত বছরের জুন মাসে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছেছিলো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ২১ লাখ ৭০ লাখ। এর মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩৫ কোটি ৩০ হাজার, আর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে (১৮ মে হালনাগাদ করা) দেখা গেছে মার্চ মাসে এসে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজারে। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১১ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার। এই প্রায় এক বছরে নেই ১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনে অন্তত একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করলে তাকে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বলা যাবে।
তবুও এই একই সময়ে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১০ লাখ ৭০ হাজার।
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কেন কমছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেন বাড়ছে এ বিষয়ে খোঁজ করতেই জানা গেলো একাধিক তথ্য। এরমধ্যে অন্যতম হলো মোবাইল ইন্টারনেটের দাম বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, সরকার আইএসপিগুলোকে কয়েক দফা চাপ দিয়ে ইন্টারনেটের দাম কমিয়েছে, ৫০০ টাকায় দেওয়ার জন্য। যেটা আবার জুলাই থেকে ৪০০ টাকা করার জন্য বলা হচ্ছে। টেলকোদের সরকার কিছু বলেনি। ফলে তারা ইন্টারনেটের দাম বাড়িয়েই গেছে। আর স্টিম রোলার চালিয়েছে ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের (আইএসপি) ওপর। আইএসপির কাঁচামাল ব্যান্ডউইথ, ভ্যাট, ট্যাক্স, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স, করপোরেট ট্যাক্স, এসওএফ ফান্ড- এসবে সরকার কিছুই করেনি। আইএসপিরা লবিস্ট নিয়োগ করতে পারে না। তারা সব মেনে মেনে নেয়। বাধ্য হয়ে দাম কমায়। এজন্য হয়তো গ্রাহক বাড়ছে। কিন্তু তারা কোয়ালিটি অব সার্ভিস দিতে পারছে কিনা এটা জানি না। কিন্তু এ রকম যদি চলতেই থাকে তাহলে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়বে ঠিকই কিন্তু দেশীয় উদ্যোক্তারা মৃত্যুর পথে চলে যাবে।
এমএএইচ