.png)

মোবাইল সিম কিনলে পাওয়া যাবে স্মার্টফোন, তবে সিম-হ্যান্ডসেট থাকবে লক
Published : ১৮:৪১, ২৬ মে ২০২৫
মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়াতে এবং বৈষম্য কমাতে মোবাইল ফোন অপারেটররা গ্রাহক পর্যায়ে কিস্তিতে হ্যান্ডসেট বিক্রি করতে পারবে। তবে মোবাইল সিমের নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইস স্লট থাকবে লক। ক্রেতার সব কিস্তি পরিশোধ হলে বা সব বকেয়া নির্ধারিত সময়ের আগে পরিশোধ হলে নেটওয়ার্ক ও ডিভাইস লকিং উভয় পদ্ধতির বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিয়ে গ্রাহককে পছন্দ মতো মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এমনই নিয়ম করে তা সর্বশেষ কমিশন সভায় তার অনুমোদন দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
এর ফলে উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও মোবাইল ফোন অপারেটররা কিস্তিতে বিটিআরসি থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হ্যান্ডসেটের সাথে মোবাইল সিম বিক্রি করতে পারবে। গ্রাহকের কিস্তি শেষ হয়ে গেলে বা নির্ধারিত সময়ের আগে বকেয়া অর্থ পরিশোধ হয়ে গেলে গ্রাহকের হ্যান্ডসেটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তখন গ্রাহক তার পছন্দের অপারেটরের মোবাইল সিম ব্যবহার করতে পারবে। তবে কিস্তি শেষ হওয়ার আগে মোবাইল ফোনে সব সিম স্লট লক করা থাকবে, লক করা থাকবে নেটওয়ার্কও। আর ডিভাইস লক করার জন্য ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হবে ডিভাইস লকিং অ্যাপ।
বিটিআরসির ২৯৩ ও ২৯৪তম কমিশন সভায় নির্ধারিত সূচিতে কিস্তিতে মোবাইল ফোন সেট বিক্রির বিষয়টি ছিল। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিষয়টি উত্থাপন করা হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় বলে জানা গেছে।
কিস্তিতে মোবাইল ফোন সেট বিক্রিতে যেসব শর্ত দিয়েছে বিটিআরসি:
মোবাইল ফোন অপারেটর, মোবাইল ফোন উৎপাদক বা মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা মোবাইল সিম বা নেটওয়ার্ক লকিং (সব সিম স্লট) এবং ডিভাইস লকিং উভয় পদ্ধতির মাধ্যমে যৌথভাবে বা এককভাবে মোবাইল ফোন সেট কিস্তিতে বিক্রি করতে পারবেন।
ক্রেতার সব কিস্তি পরিশোধ হলে বা সব বকেয়া নির্ধারিত সময়ের আগে পরিশোধ করা হলে সিম বা নেটওয়ার্ক লকিং এবং ডিভাইস লকিং উভয় পদ্ধতির বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিয়ে গ্রাহককে পছন্দ মতো মোবাইল ফোন সেটা ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
মোবাইল অপারেটররা মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি, উৎপাদন ও সংযোজন করতে পারবে না। তবে মোবাইল ফোন অপারেটররা মোবাইল ফোন উৎপাদক বা মোবাইল ফোন আমদানিকারদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে বিটিআরসি অনুমোদিত মোবাইল ফোন সেট কিস্তির মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবে। মোবাইল অপারেটররা কিস্তিতে মোবাইল ফোন সেট বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ (প্রণোদনাসহ বা প্রণোদনা ব্যাতীত) চালু করার আগে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে অনুমোদন নিয়ে নেবে এবং মোবাইল ফোন সেট বিক্রির সব তথ্য কমিশনে দাখিল করবে। কমিশন থেকে পরবর্তী সময়ে কোনও নির্দেশনা দিলে মোবাইল ফোন অপারেটর, মোবাইল ফোন উৎপাদক বা মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা তা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। একই সাথে এই প্রসঙ্গে কমিশন থেকে জারিকৃত ২০২৩ সালের ২ জুলাইয়ের নির্দেশনা রহিত করে কমিশন।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে। বিষয়টা ভালো।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর একটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কিস্তিতে বিক্রি করছে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল সেটটির সিম (নেটওয়ার্ক) ও ডিভাইস লক থাকছে না, উন্মুক্ত থাকছে। এ ক্ষেত্রে বিদেশী একটি পক্ষ এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
এমএএইচ